মানবিক কাজে স্পিডবোট ভাড়া নিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নৈরাজ্যে
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা ঢলে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ বেশ কিছু অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে। ফলে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে চাঁদপুরে স্পিডবোট ভাড়া নিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নৈরাজ্যে।
সুযোগ বুঝে বোটের মালিকরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন বলে অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবীদের।
বিশেষ করে ফেনীতে বন্যাদুর্গত মানুষদের সহায়তায় চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা ৩০টি স্পিড বোট নিয়ে ফেনীতে বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়েছেন।
এদিকে স্পিডবোট ভাড়ার নামে একটি চক্র স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। প্রতিটি বোটের ভাড়া প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। চাঁদপুর থেকে ট্রাকে করে নেওয়ার ভাড়াও ১০ হাজার টাকা। এছাড়া থাকা-খাওয়া সব খরচ বহন করতে হবে উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবকদের।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা একে একে ৩০টি স্পিড বোট ট্রাকে করে ফেনী বানবাসীদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে বোট সিন্ডিকেট চক্রটি প্রতিটি স্পিডবোট ১০ হাজার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাধ্য হয়েই প্রতিটি স্পিডবোট খরচসহ ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিকে দুপুর থেকে চাঁদপুরের কোথাও স্পিডবোট ভাড়ার জন্য পাওয়া যায়নি। পরে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেদের অর্থায়নে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নগদ টাকায় ক্রয় করে মতলব উত্তর থেকে ট্রাকে করে ফেনীতে নিয়ে যায়।
ফেনীতে বানবাসীদের উদ্ধারে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক খায়রুল আলম জানান, চাঁদপুর থেকে ৩০টি স্পিডবোট ফেনীতে যাচ্ছে। আমাদের ট্রাকে দুটি বোট আছে। তাদের সব খরচ আমাদের বহন করতে হবে। তারা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। অথচ তারা ফেনী জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে একটু মানবিক হওয়া উচিত ছিল। স্পিডবোট একটু হোক বা দুইটি প্রতি ট্রাক ১০ হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এ সময়ে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।