আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আটজনের নগদ অর্থের তথ্য চায় দুদক
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আটজনের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আরও যাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফি মোদাচ্ছির, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু এবং পুলিশের সাবেক ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল।
নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৫ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ, পদায়ন ও বদলি-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতেন। আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুস হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন।
পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এ টাকা আদায় করা হতো। তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশিদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সে মোতাবেক নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করতেন সাবেক এ মন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ ঘুস হিসেবে নিতেন।