বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফেসবুক লাইভ থেকে নিখোঁজ, ১২ দিন পর মর্গে মিললো গুলিবিদ্ধ মরদেহ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গিয়ে ৫ আগস্ট নিখোঁজ হন শরীয়তপুরের মীর মোহাম্মদ আল-আমীন। ১২ দিন পর শনিবার (১৭ আগস্ট) তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ হাসপাতালের মর্গে খুঁজে পান স্বজনরা।
আন্দোলনে শহীদের তালিকায় তার নামসহ পরিবারের ভরণপোষণ ও হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের দক্ষিণ মগর এলাকার ইসমাইল মীর মালত ও জিয়াসমিন বেগমের বড় ছেলে মীর মোহাম্মদ আল-আমীন (২৯)। পাঁচ মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি। এরপর তিনি ঢাকাতেই থাকতেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সাভার এলাকায় আনন্দ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন আল-আমীন। এ সময় তিনি ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।
বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজেও সন্ধান মেলেনি তার। ১২ দিন পর শনিবার (১৭ আগস্ট) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ খুঁজে পান স্বজনরা। ওইদিনই মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়। পরে রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মরদেহ দাফন হয়।
নিহতের বন্ধু সরল বলেন, আমার বন্ধু প্রথম থেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে অংশ নিয়ে লাইভ করছিল। হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হয়ে গেলে এরপর থেকে ওর কোনো সন্ধান পাইনি। অনেক হাসপাতালে ঘুরেছি। ১২ দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালের মর্গে ওর মরদেহ খুঁজে পাই। ওর কপালে গুলির ছিদ্র ছিল।
নিহতের ছোট বোন আফলান সিনথিয়া বলেন, আমার ভাইতো সশস্ত্র ছিল না। সে আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়েছিল। আমার ভাইকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।