সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণহত্যার পেছনে ইন্টারনেট বন্ধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত: আইনজীবীব
সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণহত্যার পেছনে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা গভীরভাবে সম্পর্কিত বলে জানিয়েছেন রিকশাচালক হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা বারের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী।
তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালে তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশেই সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনই ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক আকারে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তাই আদালতও মনে করে গণহত্যার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তানভীর হাসান সৈকতের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, অবৈধ সরকারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আদালত ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা অনুধাবন করে তাদের প্রত্যেককেই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহযোগিতাতেই ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, আদালত মনে করে পলকসহ এই তিন আসামির নির্দেশনাতেই সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেহেতু ইন্টারনেট বন্ধের পর বড় একটি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তাই এর দায় কোনোভাবেই তারা এড়াতে পারেন না। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ১০ দিনই মঞ্জুর করে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট।
এর আগে বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিগত সময়ে খুন-গুমসহ নানা ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলগুলোকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে। সেসব হয়রানির জন্য আজকে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা হওয়া প্রয়োজন। আমরা এই রিমান্ড শুনানি আমাদের চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। আশা করছি রিমান্ড শেষে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য বেড়িয়ে আসবে।