যদি দুর্নীতি করে থাকি, তাহলে আইন আছে, আমি সব বিচার মাথা পেতে নেব: মতিউরের স্ত্রী লাকী
ছাগলকাণ্ডে বিতর্তিক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী বলেছেন, ‘আমি রায়পুরা-নরসিংদীসহ বাংলাদেশে কোথাও কোনো দুর্নীতি করি নাই। যদি দুর্নীতি করে থাকি, তাহলে আইন আছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তার মাধ্যমে আমার বিচার হবে। আমি সব বিচার মাথা পেতে নেব।
গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মিজার্নগর ইউনিয়নের বাঙালিনগর মাঠে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লাকী আরও বলেন, আমি ঢাকা ইউনিভার্সির ছাত্রী। গণঅভ্যুত্থানের নেত্রী ছিলাম। আমি সরকারি চাকরি করেছি। কোনো অন্যায় করিনি। আমি আমার পথে এগিয়েছি। হুট করে এখানে (রায়পুরা) এসে রাজনীতি করি নাই। রাজনীতি আমার একটা নেশা। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য পদে ছিলাম। আমি নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। সেখানে দলীয় প্রতীক (নৌকা) না পাওয়ায় আমি নির্বাচন করিনি। সে সময় অনেকে অনেক কথা বলেছে কিন্তু আমি তখন লোভে পড়ি নাই। তার প্রেক্ষিতেই আমাকে জেলা আওয়ামী লীগে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো কিছুর বিনিময় বা কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পদে আসিনি। আসছে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে আবারো প্রার্থী হব। আপনারা পাশে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। আপনারা সুযোগ দিলে নির্বাচিত হয়ে সেবা করে যাব। আমি সেবক হতে চাই, শোষক হতে চাই না। আপনারা যদি আবার সুযোগ দেন, আমি কথা দিচ্ছি সারাজীবন আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সেবা করে যাব।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন লায়লা কানিক লাকী। বর্তমানে তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে ওই শূন্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়লা কানিক লাকী।