মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলা আ.লীগে ‘পকেট কমিটি’, দেওয়ার অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিকভাবে টংগিবাড়ি উপজেলায় ‘পকেট কমিটি’ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতারা।
তাদের দাবি, মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে ও নির্বাচিত সভাপতিকে না জানিয়ে অনির্বাচিতদের দিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে পকেট কমিটি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন টংগিবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক।
এ সময় টংগিবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হাওলাদার, টংগিবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফিরোজ আল মুজাহিদ স্বপন হওলাদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান ও অ্যামিলি পারভিন, সদস্য আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে হাফিজ আল আসাদ বারেক বলেন, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগিবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সাম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস ও সাগুফতা ইয়াসমিন উপস্থিতি ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
ওই সম্মেলনে টংগিবাড়ি উপজেলার ৪৯৬ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে ৩২৮ ভোট পেয়ে হাফিজ আল আসাদ বারেক সভাপতি এবং ২৩৬ ভোট পেয়ে এ কে এম আসানুল কবির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে সাধারণ সম্পাক পদে গোলাম রাব্বানী শান্ত ১৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং মাত্র ৬৯ ভোট পেয়ে বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝি তৃতীয় হন।
হাফিজ আল আসাদ বারেক অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলেন। সেই মোতাবেক টংগিবাড়ি উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার বরাবর জমা দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিতে তারা দুই বছর ধরে নানান টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ২১ জুন (শুক্রবার) সবার অগোচরে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসানুল কবিরকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝিকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পকেট কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সে কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়াও আমাদের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত কমিটির প্রায় সকলকে বাদ দেওয়া হয়, যা অন্যায় ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।