চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা
চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে। এতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে বুধবার (১৯ জুন) বিকেল থেকে এলাকায় মাইকিং করছে জেলা প্রশাসক এবং সিটি করপোরেশনের টীম।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) তানভীর-আল-নাসিফ বলেছেন, ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে সম্ভাব্য ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড় ধস রোধে জেলা প্রশাসনের একাধিক টীম চট্টগ্রাম মহানগরসহ উপজেলাগুলোতে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর আকবরশাহ, বিজয়নগর, ১নং ঝিল, টাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিল এলাকা, পাহাড়িকা, সমবায় আবাসিক, সমসামিত গৃহ নির্মাণ, মিয়ার পাহাড়, মুরাদপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের পাহাড়, আকমল আলী ঘাট, লালখান বাজারের পোড়া কলোনি বস্তি এলাকা, ঢেবারপাড়, বাকলিয়া বন্দর, মতিঝর্না, বাটালি হিলসহ মহানগরের সকল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দুপুরের পর থেকে জনগণকে সচেতন করে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া পাহাড়ের আশেপাশের স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় মহানগরের সকল সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে মাইকিং ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’