আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আ.লীগ নেতা মিন্টুর তথ্যে ফাঁসছেন রাঘববোয়ালরা

0

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিচ্ছেন। আটকের পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙ্গে পড়ে তথ্য দিতে থাকেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে। তথ্য পেয়ে অবাকই হচ্ছেন তারা। তার মুখে নাম আসে বড়বড় রাঘববোয়ালদের নাম। যশোর ও ঝিনাহদাহের পাশাপাশি ঢাকার কয়েকজন ব্যক্তির নামও এসেছে। তাদের মধ্যে আছেন রাজনৈতিক নেতা, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ীর নাম। যাদের নাম এসেছে তাদের কললিষ্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ওইসব রাঘববোয়ালরা আনারকে হত্যা করার জন্য ৫ কোটি টাকা দিলেও খরচ হয়েছে মাত্র অর্ধকোটি টাকা। বাকি সাড়ে ৪ কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন আরেক মাষ্টারমাইন্ড আকতারুজ্জামান শাহীন। অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি মিন্টুকে ঝিনাহদহে উপ-নির্বাচনে এমপি করার টোপ দিয়ে রেখেছিলেন রাঘববোয়ালা।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাইদুল করিম মিন্টুকে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তাকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিন্টুকে। কিন্তু কোনভাবেই তিনি মুখ খুলছিলেন না। পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত তথ্য-প্রমাণ হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর এক পর্যায়ে সবকিছু স্বীকার করে গোয়েন্দাদের আদ্যপান্ত জানান মিন্টু। তাছাড়া রিমান্ডে থাকা গ্যাস বাবুও মিন্টুর জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর মিন্টুকে আনারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মূলত ঝিনাইদহ-৪ আসনে এমপির হওয়ার লোভে পড়ে নেপথ্যে থাকার একটি বড় শক্তির ইন্ধনে তিনি এই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তার হয়ে কাজ করেন রিমান্ডে থাকা জেলার আরেক নেতা গ্যাস বাবু। হত্যাকান্ডের বাস্তবায়নে ছিলেন কোটচাঁদপুরের শাহীন ও চরমপন্থি নেতা আমান উল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া এবং তার সঙ্গিরা।

-দেশ রূপান্তর

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com