দেশে চামড়াজাত পণ্যের দামের তুলনায় চামড়ার দাম একেবারেই নগন্য

0

কুরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি, গাজার মজলুম মুসলমানদের সাহায্য প্রেরণ, দেশবিরোধী ও জাতি ধ্বংসে এনজিওদের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী এসব দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে চামড়াজাত পণ্যের দামের তুলনায় চামড়ার দাম একেবারেই নগন্য। চামড়ার দাম কমে যাওয়ার ফলে গোশতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চামড়ার তৈরি পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। এক জোড়া জুতা কিংবা একটি চামড়ার ব্যাগের দাম যেখানে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকার বেশি, সেখানে একটি গরুর চামড়ার দাম মাত্র ৪০০-৫০০ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার কোন মূল্যই নেই। যে চামড়ার দ্বারা এত দামি পণ্য তৈরি হয় সেই চামড়ার মূল্য এত কম কেন? এখানে মধ্যসত্তত্ব ভোগী সিন্ডিকেট দায়ী।

কুরবানির চামড়ার মূল্য সম্পূর্ণ গরিবদের হক। এ বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত সরকারের কাছে বার বার দাবি করা সত্বেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। আমাদের দাবি হলো সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশের জনগণকে গাজার মুসলমানদের জন্য আর্থিক সহায়তার আহবান জানিয়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, যেহেতু সামনেই ঈদুল আজহায় কুরবানি রয়েছে সেক্ষেত্রে যাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব তারা ওয়াজিব পরিমাণ কুরবানি দিয়ে বাকী টাকা গাজার মজলুম মুসলমান ভাইদের সাহায্য করলে অনেক বেশি প্রতিদান পাবেন ইনশাআল্লাহ।

এছাড়া যারা নফল কুরবানি করেন এবং প্রতি বছর নফল হজ ও ওমরাহ পালন করেন তারা এই কুরবানি ও হজ-ওমরার খরচের টাকা দিয়ে বিধ্বস্ত গাজার মজলুমদের পাশে দাঁড়ান।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত মুসলিম সন্তানদের জন্য ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে। এই শিক্ষা করিকুলামে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার হয়ে ইসলামিক মূল্যবোধ সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে শিক্ষানীতি ও শিক্ষা কারিকুলামে হক্কানী উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করে শিক্ষানীতি ও কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

দেশবিরোধী এনজিওগুলোর অপতৎপরতার বিষয়ে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে এসব এনজিও বাংলাদেশে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। শুরু থেকেই উলামায়ে কেরাম ও সচেতন মহল সরকার ও জাতিকে এনজিওদের অপতৎপরতার বিষয়ে অবগত করে আসছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা সেবার ছদ্মাবরণে অর্থনৈতিক শোষন, ধর্মান্তরীতকরণের মাধ্যমে জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশের স্বাধীনতা বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com