কালো টাকা সাদা করার সুযোগ মানা যায় না: নাগরিক প্লাটফর্ম
বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে তার সমালোচনা করেছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম।
সংস্থাটি বলছে, ১৫ শতাংশ নয়, আবাসন খাতে মাত্র ২-৩ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলা হয়। ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আয়করে কোথায় ছাড় আছে সেটা বাজেটে বলা হয়েছে। বড় ভাবে ছাড় কমানো হয়েছে পরোক্ষ করে। গার্মেন্টস, জ্বালানি, মাইক্রোক্রেডিটের মতো প্রত্যক্ষ করের ছাড়ে কোনো পদক্ষেপ নেই। আগামীতে কী করা হবে এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা নেই। আয়করের ছাড়ের ব্যাপারেও কোনো পদক্ষেপ নেই।
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ১৫ শতাংশ নগদ অর্থ দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করা যাবে। কিন্তু গুলশান এলাকায় ফ্ল্যাট কিনলে ২.৩৮ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আপনি বের হয়ে যেতে পারবেন। পুরো বৈধ হবে, একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ১৫ শতাংশ নয় ২-৩ শতাংশ দিয়ে আপনি বের হয়ে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে সম্পূর্ণ রূপে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। কাউকে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। এটা মানা যায় না।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। আমরা খুবই আশাবাদী। এর থেকে চমৎকার স্বপ্ন আর হয় না। কিন্তু এটা বাস্তবায়নে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। কী কারণে আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়লাম। সেটা ভালোভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে বের হয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টর, সুশাসন নিয়ে আলোচনা নাই। বাজারে অনিয়ম, অর্থপাচার রোধে কী হবে, দায় দেনার ক্রাইসিস চিহ্নিত করা হয়নি।
তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বড় আকারে আমরা ঋণের পরিস্থিতিতে পড়েছি সেটা স্বীকার করা হয়নি। গত অর্থবছরে বিদেশি ঋণ শোধ করার জন্য আমাদের রাজস্ব যথেষ্ট ছিল না। আমরা প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেছি।