মুন্সিগঞ্জ সদরে খাবার চাওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীনকে নদীতে ফেলে হত্যা
মুন্সিগঞ্জ সদরে খাবার চেয়ে না পেয়ে বাসায় ঢিল মারায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ধলেশ্বরী নদী থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার (৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও সংলগ্ন নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় তাকে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। নয়াগাঁও এলাকার স্থানীয় জুলহাস নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে খাবার চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। এসময় খাবার না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে ঢিল ছুড়লে জুলহাস নির্মমভাবে তাকে তুলে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেন। এতে ডুবে যান তিনি।
খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে ৪ ঘণ্টা পর দুপুর একটার দিকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জজমিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাড়ি থেকে জাপটে ধরে ওই পাগলকে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন জুলহাস। পরে নদীতে ফেলে দিয়ে চলে যান। অমানবিক একটি কাজ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিচার হওয়া উচিত।