বাগেরহাটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা
বাগেরহাটের মোংলায় কিশোরীকে (১৭) তুলে নিয়ে চোখ–মুখ বেঁধে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে সাতজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্বজন।
ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার রাতে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে।
বৃহস্পতিবার থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা রেকর্ড শেষে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মোংলায় কিশোরীকে তুলে নিয়ে চিংড়ির ঘেরের ঘরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন–উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির (২৫), একই এলাকার রানা শেখ (২৪), মো. সুমন (২৯), মিজানুর মোছাল্লী, (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার রাসেল শেখ (২২)। এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন–মো. জামাল (৪৫) ও মো. আওয়াল (৩৫)। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে ওষুধ কিনতে গেলে মোংলা শহরতলির কলেজের সামনের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দুই যুবক। পরে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকার একটি চিংড়ি ঘেরে চোখ–মুখ বেঁধে আরও কয়েকজন মিলে তাকে রাতভর ধর্ষণের পর ঘরে আটকে রাখে।
এ সময় ভুক্তভোগী বাঁচার জন্য আকুতি জানালে তাকে মারধর করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে মিঠাখালীর মৌখালী ব্রিজের পাশে ফেলে যায় অভিযুক্তরা। পরে পথচারী ও স্থানীয়রা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।