ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি

0

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ২১২ নম্বর লেবার ওয়ার্ড থেকে মঙ্গলবার যে সদ্যজাত শিশু চুরি হয়েছে তাকে উদ্ধারে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান।

বুধবার (৫ জুন) এ তথ্য জানান তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত ওই শিশুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার যে দম্পতির নবজাতক চুরি হয়েছে, তাদের নাম শরিফুল ইসলাম ও সুখী বেগম। তারা ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকার ভাড়াটিয়া। জানা যায়, গত সোমবার (৩ জুন) রাতে সুখীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে দুই যমজ মেয়ের জন্ম দেন তিনি। তাদের একটি ছেলে সন্তানও আছে। নতুন জন্ম নেওয়া দুই যমজের মধ্যে এক নবজাতকই সন্দেহভাজন সেই নারী নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ শরিফুল-সুখী দম্পতির।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোরখা ও কমলা রঙের ওড়না পরিহিত এক নারী শিশুটির দাদির সঙ্গে আলাপ করছেন। পরে সদ্যজাত যমজদের মধ্যে একজনকে তিনি কোলের নেন। পরে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের একটি কাগজ দেখিয়ে শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার হাসপাতালের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে সুখী বেগমকে তার এক সন্তানসহ দেখা যায়। তাকে তার অপর সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করতেই কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, আমার বাচ্চা হারিয়ে গেছে। আমাকে আমার স্বামী ও স্বজনরা জানায়নি। ওয়ার্ডে অন্য লোকদের মুখে জানতে পারি আমার একটি বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে গেছে। এতে কষ্ট করে দুটি বাচ্চাকে নয় মাস পেটে রেখেছি। এখন জন্মের পর যদি একজন মা জানতে পারে একটি বাচ্চা চুরি হয়েছে, তখন তার কেমন লাগে? যে করেই হোক আমার সন্তানকে আমি ফিরে পেতে চাই।

সুখীর স্বামী শরিফুল ইসলাম বলেন, সন্তানদের জন্মের সময় তার হাসিনা বেগম সঙ্গে ছিলেন। যমজ বাচ্চা হওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান তাদের নবজাতকের এনআইসিইউতে রাখতে হবে। তখন থেকেই ওই নারী আমাদের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। আমার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ২১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। তিনি আমার মায়ের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। তিনি তো কিছু বোঝেন না। এই সুযোগে ওই নারী আমার সন্তান নিয়ে পালান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com