শান্তিপ্রতিষ্ঠা এখন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন: প্রধানমন্ত্রী
শান্তিপ্রতিষ্ঠা এখন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করে যাবো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব উপহার দেবো। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন বন্ধের আহ্বান জানান। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্র তৈরি ও প্রতিযোগিতার টাকা জলবায়ুর অভিঘাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে, ক্ষুধার্তের আহার ও শিশুশিক্ষায় কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যেন আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সেজন্য আমাদের সরকারের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা তাদের বর্তমান ধারা অব্যাহত রেখে দেশের সম্মান বিশ্বের দরবারে আরও উন্নত করবে। এই আয়োজন করা ও আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এখন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যেন বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মিশন এলাকার পরিবেশ, আবহাওয়া ও ভূমির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নত প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জামাদি ও পোশাক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। যোগাযোগের জন্য অত্যাধুনিক যানবাহন এবং প্রযুক্তির সংযোজন করেছি। প্রশিক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন চলমান পক্রিয়া, এটি অব্যাহত থাকবে।