আটক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিল আওয়ামী লীগ
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে আটক এক আওয়ামী লীগ নেতাকে থানা থেকে নেতা-কর্মীরা চাপ প্রয়োগ করে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমকে গত মঙ্গলবার রাতে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নানামুখী চাপে শেষ পর্যন্ত তাকে বুধবার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার যৌথ সীমানায় অবস্থিত ধুপড়িয়া বিলে মাছ ধরা নিয়ে অবৈধ লেনদেন ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে কাইয়ুমের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে তাকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই আবদুল কাইয়ুমের সমর্থকরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে তাকে মুক্তির দাবি জানান। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা কাইয়ুমকে মুক্ত করতে তদবিরে নামেন। কিন্তু রাতে পুলিশ তাকে না ছেড়ে থানা হাজতে রাখে। বুধবার সকালে কাইয়ুমের সমর্থকরা সিলেট-মৌলভীবাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সড়কে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। এর প্রেক্ষিতে দুপুরে কাইয়ুমকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের জিম্মায় আবদুল কাইয়ুমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কাইয়ুমের বিরুদ্ধে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ খতিয়ে দেখে তা নিরসনেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে আমিসহ আরও কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে আটক আবদুল কাইয়ুমের মুক্তির জন্য কোনো লিখিত জিম্মানামায় আমরা সাক্ষর করিনি।