পিটিয়ে নারীর হাত-পা ভাঙলেন যুবলীগ নেতা
সাভারের আশুলিয়ায় একটি মার্কেট দখল করতে না পেরে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে এক নারীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মাকসুদা আক্তারকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাকসুদা আক্তারের ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।
এর আগে সকালে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত নারীর ভাই ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের মালিকানাধীন ফলের আড়তের একটি মার্কেট দীর্ঘ দিন ধরে দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া। পরে বুধবার সকালে ওই নারী তার নিজ মার্কেটে গেলে যুবলীগ নেতা মঈনুল, জয়নাল হাজী, খলিল, শরীফ, সুমন, আব্দুল হালিমসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী নিয়ে তার মার্কেটে গিয়ে অবস্থান নেয়।
তিনি জানান, এ সময় যুবলীগ নেতা তার বোনকে মামলা তুলে নেওয়াসহ মার্কেট ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন। তবে মার্কেটের মালিক তার বোন এর প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা মঈনুল ও তার লোকজন লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মাকসুদাকে পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয়। পরে তারা মার্কেট মালিককে এখানে না আশার জন্যও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
আহত নারী মাকসুদা আক্তার মাসু অভিযোগ করে আরো বলেন, বেশ কিছু দিন যাবৎ তার মার্কেট দখল করার জন্য পাঁয়তারা করে আসছে। এ ঘটনায় তিনি এর আগে ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ওই মহিলা আমার মার্কেটের সামনে এসে নিজের লোকজন দিয়ে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে যায়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করে থাকতে পারে।
তবে আমি সেখানে ছিলাম না বলে তিনি দাবি করেন।
থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। এ ঘটনায় তার যুবলীগ নেতার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মার্কেট মালিকের ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।