প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পাঠেও ধন-সম্পদের বরকত হয়
নিসাব পরিমাণ সম্পদের জাকাত আদায়ে সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। আবার প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পাঠেও ধন-সম্পদের বরকত হয়।
জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত, যা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর আদায় করা ফরজ। কিন্তু যাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই বা অসহায় নিঃস্ব; তাদের জন্যও জাকাতের সাওয়াব লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো প্রিয়নবির প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা।
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যেদেনা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া আলাল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাদের নেতা তোমার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর রহমত বর্ষণ কর, এবং সব মুমিন নর-নারী ও মুসলমান নর-নারীর ওপরও রহমত বর্ষণ কর।’
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করলে যেমন সম্পদে বরকত হয় তেমনি সম্পদহীন ব্যক্তির দরূদ পাঠের ফলে জাকাতের সাওয়াব লাভ করে। হাদিসে এসেছে-
যে ব্যক্তি তার সম্পদের মাঝে বরকত হোক এ বিষয়ে আগ্রহী সে যেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর উপরোক্ত দরুদ-শরিফটি বেশি বেশি পড়ে।
আর কোনো মুসলমানের কাছে যদি দান করার মতো কোনো সম্পদ না থাকে তাহলে সে যেন এ দরুদ শরিফটি বেশি বেশি পড়ে। এ দরূদ পাঠ ওই ব্যক্তির জন্য জাকাতসরূপ হবে। অর্থাৎ এতে তার সম্পদের মাঝে বরকত হবে এবং তা পবিত্র হবে। (মুসতাদরেকে হাকেম)
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সম্পদশালী, সম্পদহীন, অসহায়-নিঃস্ব সবাইকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের ওপর দরূদ পাঠ করে সম্পদ লাভ ও সম্পদের বরকত লাভের তাওফিক দান করুন।
সম্পদ ও সম্পদের বরকত লাভের পাশাপাশি জাকাত, সাদকা ও দান-অনুদানের সাওয়াবের লাভের তাওফিক দান করুন।
সর্বোপরি দরূদের রয়েছে অসংখ্য ফজিলত। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে বেশি বেশি দরূদ পাঠের মাধ্যমে আখেরাতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত লাভের সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।