নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটা জাল ভোট পড়লেই সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ: নির্বাচন কমিশনার
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটা জাল ভোট পড়লেই সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান। এ নির্দেশনা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আগামী ৮ মে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। অবাধ নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, যদি ভোট কেন্দ্রে কেউ অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বা স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটায় তাহলে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর যদি এর থেকেও শক্তিশালী ঘটনা ঘটে- যেমন ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান, ভেগে যান কিন্তু কোনো প্রকার সহিংসতাকে গ্রহণ করা হবে না। পরিষ্কারভাবে এ নির্দেশনা সবাইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এটা আপনারা ইতোপূর্বেও দেখে এসেছেন। যা সকলের সহযোগিতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি। প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিবেক এবং ইমানের ওপর নির্ভর করে সঠিকভাবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। তাদেরকে সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের থার্ড আই এবং ইয়ার হিসেবে কাজ করছে। তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় তারাই পাবে যারা দুই নম্বর, ধোঁকাবাজ এবং অন্যায়ের সাপোর্টকারী।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যখন ঢুকবে, তখন অনুমতির দরকার নেই। কেন্দ্রে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও নিতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও ক্যামেরা ধরে রাখা যাবে, শুধু লাইভটা ভোট কক্ষের বাইরে দেবে।