কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সনদ বাণিজ্য: ঘুষ লেনদেন চক্রে দুদকের দুই কর্মকর্তাও জড়িত
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সনদ বাণিজ্য নিয়ে কয়েক বছর আগে সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে অর্থের বিনিময়ে ওই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় দুদকের দুই জন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে। বিষয়টির সত্যতা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ভিন্ন একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
দুদক সচিব আরও বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) একাধিক গণমাধ্যমে “ঘুষ লেনদেন চক্রে দুদকের দুই কর্মকর্তাও জড়িত” মর্মে প্রকাশিত প্রতিবেদন কমিশনের গোচরীভূত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য দুদকের দুই জন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একজন পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ভিন্ন একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
দুদক সচিব আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক কোটি ৬২ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করা হয়, যা বর্তমানে বিচারাধীন। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির ভিন্ন একটি অভিযোগও কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।