মাদারীপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মুক্তিপণের ৫০ লাখ টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে সুব্রত পালকে।
নিহত সুব্রত পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার চন্দ্রপাড়া এলাকার কৃষ্ণ কান্ত পালের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দ্বিতীয় স্ত্রী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার চৌরাশি গ্রামের জগবন্ধু বাড়ৈর মেয়ে মিতালী বাড়ৈ ও তার মা মিনা বাড়ৈকে আটক করা হয়েছে। মাদারীপুর পৌরসভার কুকরাইল এলাকার কাতার প্রবাসী রাশেদ মাতব্বরের তিনতলা ভবনের নিচতলায় ঘটে এ ঘটনা। সেখানে তিন মাস আগে ভাড়া ওঠেন রাজৈরের বাতিজপুর ইউনিয়নের চৌরাশি গ্রামের মৃত জগবন্ধু বাড়ৈর মেয়ে মিতালী বাড়ৈ।
স্বজনরা জানান, বেশ কিছু দিন আগে মোবাইল ফোনে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার চন্দ্রপাড়া এলাকার কৃষ্ণ কান্ত পালের ছেলে সুব্রত পালের সঙ্গে পরিচয় হয় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার চৌরাশি গ্রামের জগবন্ধু বাড়ৈর মেয়ে মিতালী বাড়ৈয়ের। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা কাবিন ধার্য করে বিয়ে হয় মিতালী ও সুব্রতর। গত বৃহস্পতিবার সুব্রতকে মোবাইলে কল দিয়ে মাদারীপুরে ডেকে আনেন মিতালী। পরে দুদিন শহরের কুকরাইল এলাকার একটি বাসায় সুব্রতকে আটকে রেখে করা হয় মানসিক নির্যাতন। আগের বিয়ে গোপন রেখে সুব্রত দ্বিতীয় বিয়ে করায় পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে মুঠোফোনে চাওয়া হয় কাবিনের ৫০ লাখ টাকা। মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় আর কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। এর পর শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশের জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে কল পেয়ে একটি রুমের দরজা ভেঙে সুব্রতর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে মরদেহ পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে।
স্বজনদের অভিযোগ, মুক্তিপণের টাকা না দেয়ায় মেরে ফেলা হয়েছে সুব্রতকে। এই ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত সুব্রতর প্রথম স্ত্রী চম্পা বাড়ৈ বলেন, শুক্রবার রাতে কয়েকবার স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। বার বার বলছিলেন ৫০ লাখ টাকা ম্যানেজ করে নিয়ে আসতে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। যতবার কথা হয়েছে, ততবারই ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড কথা হয়। এরপর মোবাইল কেড়ে নেয় মিতালী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। আমার স্বামীকে পরিকল্পনা করে মেরে ফেলা হয়েছে, এই ঘটনার বিচার চাই।