বয়ঃসন্ধিতে কী কী সমস্যা হয়, রইল কিছু সমাধানের সহজ উপায়

0

মানুষের মস্তিস্কের একটি অংশ, যা ‘হাইপোথ্যালামাস’ নামে পরিচিত, সেখান থেকে যখন হরমোন নিঃসরণ শুরু হয়, তখন থেকেই বয়ঃসন্ধিকালের শুরু বলে মনে করা হয়।এই হরমোন তখন মানুষের শরীরের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং গোনাডাল গ্ল্যান্ডগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। আগে সাধারণত ১৪ বছর বয়সের দিকে মানুষের শরীরে এই পরিবর্তন ঘটতো। ১২-১৩ বছর পার হওয়ার পরই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে একটা স্বাধীনচেতা মনোভাব তৈরি হয়৷ আর এতেই ঘটে বিপত্তি ৷ এইসময় যেহেতু বোধশক্তি পূর্ণতা পায় না তাই বাবা-মায়ের অনেকটা সতর্ক থাকা প্রয়োজন৷ বয়ঃসন্ধির সমস্যা সম্পর্কে কি জানাচ্ছেন বিশিষ্ট মনোবিদরা?

কী কী সমস্যা হয়? এই সময় বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তের ফলে শরীরে দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে৷ স্বাধীন চেতা মনোভাব। পূর্ণবয়স্ক সুলভ ব্যক্তিত্ব। সামাজিক ও আর্থিক নির্ভরতা থেকে আপেক্ষিক স্ব-নির্ভরতায় রূপান্তর। অন্য লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট যৌন কার্যকলাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

বাবা-মায়েদের পরামর্শ- ১২-১৩ বছর বয়সে যেহেতু বোধশক্তি পূর্ণতা পায় না তাই বাবা-মায়ের অনেকটা সতর্ক থাকা প্রয়োজন৷ মনে রাখতে হবে ওরা বড় হলেও অপরিনত৷ এইসময় বাবা-মায়ের ভূমিকা হওয়া উচিত বন্ধু বা উপদেষ্টার মতো ৷ একই সঙ্গে ওদের আচরণ নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে ৷

বাবা-মায়েরা অতিরিক্ত রক্ষণশীল মনোভাব দেখালে ছেলে-মেয়েরা তাঁদের থেকে অনেক কিছু আড়াল করে ৷ এমনকি কখনও কখনও বাবা-মায়েদের শত্রু মনে করে তাঁরা৷ এর ফলে সন্তানদের সঙ্গে বাবা-মায়ের দূরত্ব তৈরী হয় ৷ অতিরিক্ত শাসন ওদের মানসিক বৄদ্ধিতে বাধা হতে পারে৷

সমাধান : ছোটবেলায় শিশুরা বেশিরভাগ সময় যে মায়ের সাথেই থাকে – এ কথা ঠিক৷ তাই বলে যে মায়ের সাথে পরেও সম্পর্ক ভালো থাকবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু! সব সময় সম্পর্ক ভালো এবং সুন্দর সম্পর্ক রাখার জন্য অবশ্যই সে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে আর সেটা করতে হবে ছোটবেলা থেকেই৷ কিন্তু কিভাবে?

ছোটবেলা থেকেই শিশুর সাথে খেলাধুলা করুন, বই পড়ুন৷ শিশুর সাথে বসে টিভিতে শিশুদের অনুষ্ঠান দেখুন৷ শিশুকে অন্য শিশুর সাথে মিশতে, খেলতে দিন৷ এতেই বোঝা যাবে আপনার শিশুর পছন্দ, অপছন্দ, ভালো লাগা আর না লাগার কথা৷ শিশুর পছন্দকে গুরুত্ব দিন তবে ওর পছন্দই যেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব না পায়৷ সময়ের দাবির কারণে কিছুটা পরিবর্তন এলেও এখনো দেখা যায় যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সন্তানরা বেশিরভাগই মায়ের সাথে যতটা সহজ, বাবার সাথে তেমনটা নয়৷ তাই বাবাও সন্তানের জন্য কিছুটা সময় বের করে সন্তানের সাথে থাকুন৷ জার্মানিতে অনেক বাবাকেই দেখা যায় ছুটির দিনে সন্তানকে নিয়ে পার্কে, মিউজিয়ামে বা অন্য কোথাও ঘুরতে যেতে৷ এর মাধ্যমে বাবার সাথে সন্তানের গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা৷

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com