নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তার ভাই ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত কালো রঙের হাইস মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চকপুর গ্রামে বাড়ির গ্যারেজ থেকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আতাউর রহমান (৪৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত রবিউল্লাহ প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সোমবার (১৫ এপ্রিল) নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেওয়া, মারধর ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যান অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারদের মধ্যে সুমন আহমেদ নামের একজন ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে আদালতে বলেন, লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেন তারা। তাদের সঙ্গে কে কে ছিলেন তাও স্বীকার করেন তিনি। তবে এ ঘটনার পর থেকে অপহরণকাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্লিল) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহতের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামির দেওয়া তথ্যমতে অপহরণকাজে ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাসটি তার বাড়ির গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মাইক্রোবাসের ভেতর তল্লাশি করে দুটি চায়না চাপাতি, একটি চায়না টিপ চাকু, একটি বার্মিজ কাটার, দুটি দেশীয় রামদা, দুটি স্টিলের পাইপ, দুটি স্টাম্প, একটি চাপাতি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হয়।