হাসপাতালে গরমজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা নিতে এসেও গরমে অতিষ্ঠ রোগীরা
ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে গরমজনিত কারণে অসুস্থ রোগীর চাপ। চিকিৎসা নিতে এসেও হাসপাতালে আরেক দফা গরমের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের।
এবার এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়ছে দেশজুড়ে। ঈদের পর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই আসছে হিট স্ট্রোক, জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া নিয়ে। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি কাবু হচ্ছে শিশুরা। দীর্ঘ ছুটির পর সামনের সপ্তাহ থেকে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এভাবে তাপপ্রবাহ চলমান থাকলে শিশুদের জন্য আরও বড় সমস্যা হতে পারে।
সুচিকিৎসার জন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা ভিড় জমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢামেক গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে এসেও অতিরিক্ত গরমে খারাপ অবস্থা হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। ওয়ার্ডে ভর্তি ও মেঝেতে থাকা প্রায় সবাই হাতপাখা কিংবা ছোট টেবিল ফ্যান কিনে ব্যবহার করছেন।
২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায়, এক কোণার ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে। সেখানে অবস্থান করা এক রোগীর স্বজন বলেন, ভিতরে বাইরে সব জায়গায় গরম। তিনদিন ধরে হাসপাতালে আমার রোগী ভর্তি। আসার পর থেকেই দেখছি পাখা বন্ধ। খোঁজ নিয়েছিলাম, বলে পাখা নষ্ট। এগুলো তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখতে পারে। আমার মেয়ের কয়েকদিন ধরেই পেটে ব্যথা, জ্বরের পাশাপাশি বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে।
সাজেদা খানম তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে মেঝেতে আছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন রাত থেকেই মেয়ের পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। এরপর পেটে ব্যথা ও জ্বরও থাকে। প্রথমে ফার্মেসি থেকে স্যালাইন কিনে খাওয়ালেও ভালো না হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে চলে এসেছি।’
হাসপাতালের ভিতরে পর্যাপ্ত বাতাসের অভাব, রোগীর চাপ ও ফ্যান স্বল্পতায় কষ্টে আছেন অধিকাংশ রোগী। ভর্তি রোগীদের সঙ্গে স্বজনরাও করছেন কষ্ট। বেশিরভাগই গরমে ঘামছেন অঝোরে।