নবনির্বাচিত মেয়ররা জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত নয়।
দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে আজ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মধ্যে একটা ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। তাদের এগিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকার যেভাবে দেশ চালাতে চাচ্ছে, সেটা আর পারবে না। মানুষ একদিন দাঁড়িয়ে বলবে, এটা একেবারে অসহ্য হয়ে গেছে। এর পরিবর্তন আনতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল বলেন, এই দেশের জনগণ সব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর কোনো ব্যতিক্রম এখন হবে না।
ঐক্যফ্রন্ট সব সময় জনগণের কাঁধে সবকিছু চাপিয়ে দেয়ার রাজনীতি করছে কিনা- গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো জনগণের ওপর ভর করেই রাজনীতি করি। আমাদের শক্তি তো জনগণ। সেটাকে উৎসাহিত করার জন্য আমরা সভা-সমাবেশ ও মিছিল করি। যেন জনগণ উদ্বুদ্ধ হয়।
এ সময় দেশের অতীত ইতিহাসের কথা তুলে ধরে ড. কামাল আরও বলেন, আমাদের দেশের ৭০ বছরের ইতিহাস দেখেন। তারা সব সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন এনেছে। সেই ৬ দফা, ১১ দফা ও স্বাধীনতার কথা যদি মনে রাখেন সব সময় জনগণ এগিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও জনগণ এগিয়ে এসেছে।
সিটি নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর যুবসমাজ ও জনগণ অনাস্থা প্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটিতে নবনির্বাচিত মেয়ররা জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত নয়। তাদের মোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত বলা যাবে না।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল আরও বলেন, দুই সিটির নির্বাচিত মেয়ররা মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ মানুষের রায় পেয়েছেন। বাকি ফলাফল ইভিএমের জাল ভোট।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।