আমাদানির পরই অকেজো ভারতীয় মেশিন
ভারত থেকে আমদানি করা ভার্টিকাল বোরিং মেশিন (৩৬ ইঞ্চি) আমদানির পরই অকেজো হয়ে গেছে। এখন এগুলো পরে আছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর এ মেশিনগুলো দিয়ে কোনো কাজ করা যাচ্ছেনা। আগামীতে আদৌ এগুলো ভালো করা সম্ভব হবে কি না বা এগুলোর ভবিষ্যৎই বা কি সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। বাধ্য হয়ে ব্রিটিশ আমলের পুরাতন মেশিন কোনো রকমে মেরামত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ পুরাতন মেশিনে কাজ করার কারণে কর্মঘন্টা বেশি ব্যায় হচ্ছে। বিপুল পরিমান অর্থ ব্যায় করে আনা মেশিন কোন কাজেই লাগেনি রেলওয়ের। যা একপ্রকার অপচয় হিসেবেই মনে করেন তারা।
রেলসূত্রে জানা যায়, কারখানার মেশিন শপ-২ এ ট্রিপল দিয়ে ঢেকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে অকেজো ভার্টিকাল বোরিং মেশিন (৩৬ ইঞ্চি)। যা বিগত ২০১৬ সালের ১৮ মে তারিখে আমদানী করা হয়। কিন্তু তখন থেকেই এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কারণ হিসেবে শ্রমিকরা দাবি করেন, আনার পর চালু করা মাত্রই মেশিনটির ইলেকট্রিক সার্কিট বোর্ড জ্বলে যায়। এরপর থেকেই এটি ফেলে রাখা হয়েছে। এটি মেরামতের জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হলেও ভারতীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কোম্পানী সে বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। যার কারণে মেশিনটি কাজে লাগানো যায়নি। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আগের পুরাতন মেশিনই মেরামত করে কোনো রকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরকম আরও অনেক মেশিন আছে যা ভারত ও চীন থেকে আমদানী করা হয়েছিল সেগুলোও কাজে লাগছেনা। বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, মেশিনটি অকেজো নয়। ইন্টলেশন করে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের কাজের পরিমাণ কম, তাই বন্ধ রয়েছে। অন্য মেশিন দিয়ে কাজ চলছে। প্রয়োজনে এটি মেরামত করে ব্যবহার করা হবে। এখন কাজে লাগছেনা তাই ঢেকে রাখা হয়েছে। এমন নয় যে এটি কখনই ব্যবহার হবেনা। বরং এটির যে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে তা সেরে নেয়া যাবে।
এ সময় তার কাছে ইন্টলেশনের সময় মেশিনটির ইলেকট্রিক সার্কিট বোর্ড পুড়ে যাওয়ায় বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেরকম কিছু হয়ে থাকলে তা আমাদের লোকজনই মেরামত করবে। সম্ভব না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।