সরকারি দলের পরিকল্পনায় এই ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা: সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় জিয়া হলের ছাদে থাকা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে ম্যুরাল ভাঙার ঘটনা ঘটে। তবে বিকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ম্যুরাল ভেঙে ফেলার পেছনে কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার ঘটনায় আমরা ব্যথিত, হতবাক ও ক্ষুব্ধ। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, এটা ভেঙে ফেলার ব্যাপারে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ম্যুরাল যথাস্থানে না বসালে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেবো এবং তাদের (অভিযুক্ত) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে স্থাপিত এ অডিটোরিয়াম ‘জিয়া হল’ নামে পরিচিত। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। সরকারি দলের পরিকল্পনায় এই ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘জিয়া হল পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ম্যুরাল ভাঙার কোনও উদ্যোগ আমরা নিইনি। এটা কারা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে জিয়া হল ভেঙে সেখানে ছয় দফা মঞ্চ করার প্রস্তাবনা রাখেন। পরে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও এই হল ভেঙে নতুন করে ছয় দফা মঞ্চ, গ্যালারি, উন্মুক্ত স্থান নির্মাণের ঘোষণা দেন তিনি।