মুন্সীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা, ভাংচুর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুর ও বিকালে দুই দফায় এ হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ফাহিম দেওয়ান (১৬), আকাশ দেওয়ান (২০), সাহাবুদ্দিন তালুকদার (৪৫), হাসিবুল (২০), আবু সাইদ (৬০), রাকিব (২৫) কে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহত সুমা বেগম (৩০), লাকি বেগম (২৮), বিউটি বেগমকে (৪০)স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে পুরাবাজার এলাকায় মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ ৭নং ওয়ার্ড সদস্য স্বপন দেওয়ান ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ঢালীর সমর্থকদের মধ্যে কথাকথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার দিকে স্বপন সমর্থকরা নোয়ার্দ্দা ঢালীকান্দি হামলা করতে গেলে তাদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে মেজবাউদ্দিন সমর্থকরা বিকাল ৫টার দিকে বেহারকান্দি স্বপন দেওয়ানের বাড়িঘর ভাংচুর ও এলাকায় হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয়ই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
এই সংঘর্ষ স্থানীয় নোয়ার্দ্দা, আমঘাটা, কংশপুরা, মুন্সীকান্দি, বেহারকান্দি, লক্ষ্মীদিবি, ঢালীকান্দিসহ ৮টি গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এতে স্বপন গ্রুপের ৪ জন ও মেজবাহ উদ্দিন গ্রুপের ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়।
স্বপন দেওয়ান জানান, সকালে পুরা বাজারে আমার সমর্থকদের মারধর করে মেজবাউদ্দিন ঢালীর লোকজন। বিষয়টি জানতে গেলে দুপুরে আমাদের ধাওয়া করে তারিয়ে দেয়। পরে বিকালে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িসহ গ্রামে হামলা, ভাংচুর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের গুলিতে আমার দুই পুত্রসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
অপর পক্ষের মেজবাহ উদ্দিন ঢালী জানান, বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে আমার গ্রামে হামলা চালায় স্বপন দেওয়ানের লোকজন। এ সময় আমার পক্ষের ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, সংবাদ পাওয়ার পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।