জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে: মির্জা ফখরুল
জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার আজ মানুষের বুকে চেপে বসেছে। অথচ তাদের ক্ষমতায় বসার কোনো বৈধতা নেই। এরা ১৯৭৫ সালেও বাকশালের মাধ্যমে প্রতারণা করেছিল, আর এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে ভোটাধিকারের মাধ্যম দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সে অধিকার আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সত্য কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি, তা নিয়ে সংগ্রাম করেছি। খালেদা জিয়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হওয়ার একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যে নির্বাচন হবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু এসব কিছুই বাস্তবায়ন না করে বাকশালের মত একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। আর এজন্য দেশের যাবতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে দলীয় লোক বসানো হয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। আমাদের গণমানুষেরা নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে ভোটের মাধ্যমে। শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, কথা বলতে ও লিখতে পারবে স্বাধীনভাবে। সেই আশা ও ভরসা নিয়ে সারাদেশের মানুষ যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিল। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে।’
২০১৪ সালে নির্বাচনে কেউ অংশ নেয়নি, কেউ যেন অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছিল সরকার- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে রাতে নির্বাচন করেছে। আর এবার এক নাটকীয় মাধ্যমে নিজেরা ডামি প্রার্থী দিয়ে নিজেরাই ভোট করেছে। বিরোধী দল হিসেবে যারা দাবি করে, তাদেরও আসন কর্তন করা হয়েছে। এ নির্বাচন কেউ গ্রহণ করেনি। দেশের জনগণ ভোট দেয়নি। এমনকি বিশ্ব এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।’
তিনি আরো বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি লোকের ওপর নজরদারি করছে। ফলে মানুষ যখনই কথা বলতে চায়, বিদ্রোহ করতে চায়, তখনই তাকে তুলে নেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা এতো সহজ নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, এখনো চালাচ্ছি। জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে।