অভয়নগর থানার ওসির চাঁদাবাজির মামলা পিবিআইতে
যশোরের অভয়নগর থানার ওসিসহ তিনজননের বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভয়নগর আমলি আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাহাদত হোসেন রবিবার এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন অ্যাড. কাজী ফরিদুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার অভয়নগরের শংকরপাশা গ্রামের গাজী ইউসুফ আকাশের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন এ মামলা করেছিলেন। আসামিরা হলেন- অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ রায় ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, শংকরপাশা গ্রামের আমীর আলী গাজীর এক ছেলে আবুল কালাম ঢাকায় ঠিকাদারি ব্যবসা করেন এবং আরেক ছেলে ইউসুফ গাজী আকাশ নওয়াপাড়া ববিন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বরে আবুল কালাম বাড়িতে বেড়াতে আসার পরদিন এসআই দেবাশীষ রায় বাড়িতে এসে জানান- আবুল কালামকে বাড়ি থাকতে হলে ওসি সাহেব ৫ লাখ টাকা দিতে বলেছেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এসআই দেবাশীষ ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চলে যান।
ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ভোরে এসআই দেবাশীষ ও এএসআই কামরুজ্জামান বাড়িতে এসে আবুল কালামকে না পেয়ে তার ভাই আকাশকে ধরে নিয়ে যায়। ক্রসফায়ার ঠেকাতে তারা ৫ লাখ টাকা নিয়ে থানায় যেয়ে ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে বলেন তার বাবাকে।
এ ঘটনার দুদিন পর ৩০ ডিসেম্বর আকাশের বাবা স্বাক্ষীদের নিয়ে থানায় গিয়ে ওসিকে এক লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা তিনদিনের মধ্যে দিতে অঙ্গীকার করায় আকাশকে ছেড়ে দিবে বলে আশ্বাস দেন ওসি। কিন্তু বাকি ৪ লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আকাশকে পুলিশ ৪ দিন ধরে আটকে রেখে ১১ ডিসেম্বর তাকে চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে আদালতে চালান দেয়।
এদিকে, আকাশ আদলত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তার স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার আদালতে এ মামলা করেন।