চাকরির নামে প্রতারণা: সুদানিদের পাঠানো হচ্ছে ইয়েমেন আর লিবিয়া যুদ্ধে

0

উচ্চ বেতনের চাকরি দেয়ার কথা বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত কয়েক হাজার সুদানি তরুণকে লিবিয়া এবং ইয়েমেন যুদ্ধে পাঠিয়েছে। লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের একনিষ্ঠ সমর্থক হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। 
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের বিরুদ্ধে খলিফা হাফতার অভিযান চালাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন সুদানি তরুণ ‘মিডল ইস্ট আই’কে জানিয়েছেন, তাদেরকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি দেয়ার কথা বলে সুদান থেকে আনা হয়েছে কিন্তু তাদেরকে লিবিয়া যুদ্ধ পাঠানো হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরির জন্য প্রতি মাসে ২.১৭৫ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরব আমিরাত সরকার।
আব্দুর রহমান আল-জাকি নামে ৩৪ বছর বয়সী একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার সুদানের রাজধানী খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত আমান্দা ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়োগের এই বিজ্ঞাপন দেখে। তাকে বলা হয়েছিল, আরব আমিরাতের সিকিউরিটি ফার্ম ‘ব্ল্যাক শিল্ড’র হয়ে রাজধানী আবুধাবি অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্য কোনো শহরে কাজ করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীরা খার্তুমে আমান্দা ট্রাভেল এজেন্সির অফিসের সামনে বসে আছেন 
এরপর চাকরির জন্য কয়েক দফা ইন্টারভিউ দিয়ে আল-জাকি আমান্দা ট্রাভেল এজেন্সিকে ৯৫০ ডলার দেন। এরপর আল-জাকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান কিন্তু খুব দ্রুতই তার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়।
তিনি বুঝতে পারেন যে, প্রকৃতপক্ষে তাকে আবুধাবির জায়েদ মিলিটারী সিটিতে তিন মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়া হচ্ছে এবং তারপরে লিবিয়া অথবা ইয়েমেনে পাঠানো হবে।
আমিরাত সরকার এভাবে হাজার হাজার সুদানি তরুণকে লিবিয়া পাঠিয়ে জেনারেল হাফতারের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তেল শোধনাগার এবং কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়োগ দিয়েছে।
মিডল ইস্ট আই বলছে, এভাবে প্রতারণা করে অন্তত তিন হাজার সুদানি তরুণকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্ল্যাক শিল্ড ইয়েমেন এবং লিবিয়াতে ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে পাঠিয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com