একটা অর্বাচীন সরকারের অধীনে দেশের মানুষ বাস করছে, যা নাগরিকদের জন্য লজ্জাজনক: গয়েশ্বর

0

ইফতারে মানুষ বরই খাবে না খেজুর খাবে সে কথা ঠিক করে দেওয়া একটা অর্বাচীন সরকারের অধীনে দেশের মানুষ বাস করছে। এর চেয়ে পীড়াদায়ক, যন্ত্রণাদায়ক, অপমানজনক আর কিছু একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য হয় না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারা ভালো নেই বলেই মাঝে মাঝে আবোল-তাবোল কথা বলে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইফতারে মানুষ বরই খাবে না খেজুর খাবে সে কথা ঠিক করে দেওয়া একটা অর্বাচীন সরকারের অধীনে দেশের মানুষ বাস করছে। এর চেয়ে পীড়াদায়ক, যন্ত্রণাদায়ক, অপমানজনক আর কিছু একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমরা কেমন আছি সেটা সবাই জানে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা কেমন আছে, তা কেউ জানে না। কিন্তু তারা জানে। তারা ভালো নেই। আর ভালো নেই বলেই মাঝে মাঝে আবোল-তাবোল কথা বলে। তাতে আমাদের কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। বরং এটাকে যদি অনুধাবন করতে পারি, তাহলে আমাদের মধ্যে ঐক্য বাড়বে, পথচলাটা সঠিক হবে।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জীবন খুব ছোট না। কিন্তু খুব অল্প সময়ে তিনি সবার উপরে উঠতে পেরেছিলেন। বাকি সময় তিনি নানাবিধ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চাপা পড়েছিলেন। তিনি তার অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক জ্ঞান প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তার অনেক ধৈর্য ও সাহস ছিল।

তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেকে অনেক কথা বলতে চান। কিন্তু সবসময় সব কথা না বলা ভালো। সত্য কথা বলারও সময় আছে। সত্য কথা বলতে গেলে কখনো কখনো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এ মুহূর্তে সব সত্য কথা বলার সময় আসেনি, সে পরিবেশও তৈরি হয়নি। কারণ, আমরা একটা লড়াইয়ের ময়দানে আছি। কারণ, আমাদের এখানে ভালো, মন্দ খোঁজার থেকে লড়াইয়ের মাঠে সমাগমটা বড় করাই বড় কথা। যদিও ঐক্যবদ্ধ, প্রতিশ্রুতিশীল গুটি কয়েক লোক এক হলে যা জয়লাভ করা যায়, তা কমিটমেন্ট নেই এমন হাজার মানুষ দিয়েও কোনো যুদ্ধ বা সংগ্রামে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না।

তিনি বলেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অনেক জয় করেছেন। দলের অভ্যন্তরের সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলায় জীবনের শেষ প্রান্তে দেখিয়ে গিয়েছেন, তিনি ছোট নন। তিনি অনেক বড়, অনেক গুণী, অনেক জ্ঞানী, অনেক সাহসী। তাই তিনি ছেড়ে দিতে পারছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com