খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়েছিলো রাজধানীর নয়াপল্টন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়েছিলো রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশের এলাকা। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনকালে তারা এই স্লোগান দেয়। হরতাল সমর্থনে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। ওই সময় তারা রোববার অনুষ্ঠিত ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের সাথে থাকা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আপোষ না সংগ্রাম! সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না রাজপথ! রাজপথ রাজপথ’,‘দিল্লি না ঢাকা! ঢাকা ঢাকা’, ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না মানবো না’, ‘খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া’, ‘তারেক জিয়া’, ‘চোর চোর ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর’, ‘সিসির দু গালে জুতা মারো তালে তালে’, এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন ভূঁইয়া বলেন, শনিবার যে নির্বাচন হয়েছে এটা সম্পূর্ণ একটি প্রহসনের নির্বাচন। এ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এখন আর আমরা পেছনে ফিরে তাকাবো না গণতন্ত্র মুক্তির জন্য আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসলাম বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম এবার অন্তত জনগন তাদের ভোট দিতে পারবে। কিন্তু এবারও সরকার জনগনকে ভোট দিতে দেয়নি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, সরকার সর্বশেষ শনিবারের প্রহসনের নির্বাচন করার মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত করলেন।