চুয়াডাঙ্গার শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা : অভিযুক্ত আটক
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের শিশু সুমাইয়া খাতুনকে (৬) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী মোমিনুল ইসলামকে (২০) আটক করা হয়েছে। সে অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পিছনের মাঠের সিম খেতের মাচার নিচ থেকে শিশুটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে ঘাতক মোমিনুলকে আটক করে পুলিশ।
নিহত সুমাইয়া খাতুন পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের মেয়ে এবং স্থানীয় পারকৃষ্ণপুর-মদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
দুপুরে ধর্ষিতার বাবা নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে ঘাতক মোমিনুল ইসলামের নামে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে সুমাইয়া বাড়ি থেকে তার মায়ের খোঁজে পার্শ্ববর্তী মাঠে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী মোমিনুল ইসলাম তাকে মুখ চেপে ধরে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পিছনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়াকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাতে সিম খেতে সুমাইয়ার বিবস্ত্র লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাতেই দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। রোববার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বিকালে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পারকৃষ্ণপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এতে বক্তব্য রাখেন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম, জিয়াউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনাটি জানার পর পরই পুলিশ সুমাইয়ার সন্ধানে কাজ শুরু করে। রাতেই স্থানীয়রা সুমাইয়ার বিবস্ত্র লাশ দেখে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এরপর সকালে ঘাতক মোমিনুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিশুটির বাবা।