এবারও নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া কোনো ভোটার পাওয়া যাবে না: মিনু

0

এবারও নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে জীবজন্তু ছাড়া কোনো ভোটার পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি হবে এবারও।

পেটোয়া বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে দেশের জনগণ এবারও ভোটকেন্দ্রে যাবে না। আর যে নির্বাচনে ভোটার থাকে না, সেটি নির্বাচন নয়।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে পুলিশের মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর এবং পরিবারের লোকজনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ও গ্রেপ্তারদের তথ্য তুলে ধরেন মিজানুর রহমান মিনু।

তিনি জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগে ৪৬টি মামলায় এক হাজার ২৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মহানগর এলাকায় ৩৫টি ও জেলায় ১১টি মামলা হয়েছে। গত ২/৩ দিনে আরও নতুন মামলা এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দেড় হাজার।

এ সময় বিএনপি নেতা মিনু বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে রাজশাহী জেলা, মহানগর ও সারা দেশের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ ত্রাণ ও খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, রাজশাহী জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির অন্যতম সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ, রাজপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, শাহ মুখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবি এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ রাজশাহী মহানগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড এবং রাজশাহী জেলার সকল থানা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিজানুর রহমান মিনু পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, জেলা ও মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। অবিলম্বে পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি জানিই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com