‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে জামায়াত জনগণের কাছে আবার ফিরে যাবে’

0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে জামায়াত তার নিবন্ধন ও প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে আবার ফিরে যাবে। জামায়াতে ইসলামী তার গঠনতন্ত্রে বলেছে, সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে আল্লাহ। যারা এ কথা মানে না তাদের নিবন্ধন আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা নিবন্ধন চাই না, ঈমান নিয়ে বাঁচতে চাই। এই ঈমান দিয়েই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হেফাজত করা হবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলায় ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্বদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে অর্থবহ করে ইসলামের ভিত্তিতে ন্যায় ও ইনসাফের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক বৃহৎ ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে অধিকাংশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অধিকাংশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সারাদেশে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির খেদমত করেছে। এতোদিন পর্যন্ত নিজেদের দলীয় ব্যানার এবং প্রতীকে নির্বাচন করতে পারলেও এই সরকার কেন হঠাৎ করে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করলো? আমরা মনে করি সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই কাজটি করেছে। তফসিল ঘোষণার পরে অত্যন্ত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই সংগঠনটির নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলাটির যে ন্যায়ভ্রষ্ট রায় দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের জনগণ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন দিয়ে এই নিবন্ধন ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।

তিনি জনতাকে উদ্দেশ করে বলন, ‘প্রিয় ঢাকাবাসী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের কারণ কী আপনারা জানেন? নিবন্ধন বাতিলের মূল কারণ হলো জামায়াতে ইসলামী তার গঠনতন্ত্রে বলেছে সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। এ কথা যারা মানে না তাদের নিবন্ধন আমাদের দরকার নেই।

তিনি আরো বলেন, এই অবৈধ সরকার তথাকথিক ইন্তেকাল কমিশনের মাধ্যমে জনধিকৃত ও প্রহসনের তফসিল ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ তফসিল মানে না। এই অবৈধ তফসিলের নির্বাচন জীবন দিয়ে হলেও দেশের জনগণ রুখে দেবে। এই নির্বাচন কমিশন যেদিন গঠন করা হয়েছিল সেদিনই ইন্তেকাল করেছিল। আর অবৈধ তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেদিন তাদের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এই জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হওয়া তথাকথিত ইন্তেকাল কমিশন দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ভোট হতে পারে না। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে, জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করা যাবে না। সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার অধিকার বন্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে এই অধিকার দিয়েছে। আমরা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলনকে আরো বেগবান করে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com