সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে: ১২ দলীয় জোট

0

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা করার নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।’

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীতে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনের অবরোধের সমর্থনে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয় চত্বরে পৌঁছে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, ‘মিথ্যাচার করে ধরা খেয়ে সরকারের লেজে-গোবরে অবস্থা। বিদেশী চাপ সামলাতে দিশেহারা অবস্থা সরকারের। বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন পানসে হয়ে গেছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে সে নির্বাচন ছেলে খেলা গণ্য হবে। দেশে-বিদেশে কারো কাছেই ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে না। তাই সরকার সমঝোতায় আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।’

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার ১৫ বছর ক্ষমতাসীন থেকেও জনগণের মন জয় করতে পারেনি। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচার জন্য একের পর এক নোংরামি করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার উপায় খুঁজছে। নিজেরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ হত্যা করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে ২৮ তারিখের মহাসমাবেশে মহা-হামলা করে পূর্ব ঘোষিত ও পুলিশের অনুমোদনপ্রাপ্ত মহাসমাবেশটি ভণ্ডুল করে দিয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক কাজটি আওয়ামী লীগের পূর্ব পরিকল্পিত এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য তারা আগে থেকে মহড়া দিয়ে ঘটনার দিন নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’

তারা আরো বলেন, ‘বিরোধী দলের সবাইকে মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগ দিয়ে জেলখানা ভরে রেখে একা একা নির্বাচন করার খেলা দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না বিধায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর উদ্দেশে বিএনপি নেতাদের এবং বিএনপি পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের ভয়ভীতি ও লোভ-লালসা দেখিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসার অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। তারা দেশ ও জনগণের সেবা ও কল্যাণে মনোযোগ না দিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি শেয়ার বাজার, বাজার সিন্ডিকেট এবং ব্যাংক লুটপাটকরে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, বেগম পল্লী বানিয়েছে। জনমত এখন সম্পূর্ণ সরকারের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় বিএনপির একটি বড় অংশকে ভাগিয়ে এনে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।’

বক্তারা বলেন, ‘সরকার যাই করুক রক্ষা পাবে না। দিন শেষ হয়ে এসেছে। হয় একদফা দাবি মেনে নিয়ে সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়ে সমঝোতায় আসার শেষ সুযোগ গ্রহণ করতে হবে, না হলে দেশ ছেড়ে পালানো উপায় খুঁজতে হবে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com