তবুও টাইগারদের ওপর আস্থা বাশারের
ভারতে দুই টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ইনিংস ব্যবধানে হার। পাকিস্তানেও টি-টোয়েন্টিতে একই চিত্র। দুই ম্যাচেই দল হেরেছে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে। এবার রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট মিশন টাইগারদের সামনে। কিন্তু সম্প্রতি দলের বাজে ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে চিন্তিত টাইগার ক্রিকেটের ভক্ত থেকে শুরু করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভিতরের সমস্যা জানার কথাও বলেছেন অকপটে। দলে তরুণ আর নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। কিন্তু ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
পাকিস্তানে ফিরছেন তামিম ইকবাল। যদিও নির্ভরযোগ্য উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম নেই দলে। সাকিব আল হাসানকে পুরো বছরই পাওয়া যাবে না নিষেধাজ্ঞার কারণে। তাই নির্বাচকদেরও কপালে ভাঁজ! যদিও জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার আস্থা রাখতে চাইছেন তামিম-মুমিনুল-মাহমুুল্লাহদের ওপরই। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মানছি ভারতে টেস্টে খুব খারাপ করেছে দল। পাকিস্তানেও টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং মান মতো হয়নি। ভারতে উইকেট বা বোলিং অন্যরকম ছিল মানছি। কিন্তু পাকিস্তানের বিষয়টা মেলাতে পারছি না। সেখানে যাদের পাঠানো হয়েছে সবাই রানেই ছিল। আর এই তামিম-মাহদুল্লাহরাই এক সময় দলকে জিতিয়েছে। আমি বলতে চাইছি ওদের উপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। আশা করি নিজেদের ফিরে পাবে ওরা।’ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাওয়া প্রায় প্রতিটি ক্রিকেটার বিপিএলে রান পেয়েছেন। বোলাররাও দারুণ ফর্মে ছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই ক্রিকেটাররাই যেন ছন্নছাড়া। বাশার বলেন, ‘কারণটা আমিও জানি না সবাই জানে আমরা পাকিস্তানে যে টি-টোয়েন্টি দল পাঠিয়েছি তারা সবাই কতটা যোগ্য। বিপিএলে রান পেয়েছে আর বোলাররাও উইকেট। কিন্তু তারাই নিজেদের খুঁজে পায়নি। আমি মনে করি আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমি মনে করি পুরো বিষয়টাই মানসিক।’ বাশার বলেন, ‘প্রথমত পাকিস্তান টেস্টে দারুণ শক্তিশালী দল। তারা খেলবে নিজেদের মাটিতে। আমাদের মানসিক যে অবস্থা, এই সিরিজটাও বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই বলছি যারাই দলে সুযোগ পাবে তাদের চিন্তা করতে হবে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। আমরাতো ওদের সঙ্গে কথা বলি। আর কৌশলগত কোনো দুর্বলতা থাকলে সেটি দূর করার জন্য কোচেরা আছেন। তবে আমি মনে করি নিজেদের উত্তরণের পথ ওদেরই খুঁজে বের করতে হবে।’ মুমিনুলের নেতৃত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘কথায় আছে যদি কোনো ক্রিকেট দলের ক্ষতি করতে হয় তাহলে তার অধিনায়কের পিছনে লেগে যাও। তাহলে দলও ভেঙে পড়বে। আমি মনে করি মুমিনুলের নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলার সময় হয়নি। কারণ ও মাত্র একটি টেস্টে দলের অধিনায়ক ছিল। আমরা ওকে সুযোগ না দিলে কিভাবে বুঝবো যে তার যোগ্যতা আছে কি নেই!’ দলের সেরা বোলার মানা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে। কিন্তু এই পেসার জাতীয় দলে এসে নিজের মানের বোলিংটা করতে ব্যর্থ। একটা সময় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দলেরই তাকে নিয়ে ভয় ছিল। কিন্তু দিন দিন সেই ভয় কেটে যাচ্ছে। ক্রিকেট বোদ্ধাদের ধারণা মোস্তাফিজকে একটু বিশ্রাম দেয়া উচিত। যেন নিজেকে ফিরে পেতে পারেন। হয়তো সেই কারণেই পাকিস্তান সিরিজে প্রথম টেস্টের দলেই রাখা হয়নি তাকে। তবে বাশারের চিন্তা ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘আসলে ও কিন্তু বিপিএলেও সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হয়েছে। বুঝতে পারছি না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেন খেই হারিয়ে ফেলছে। আসলে আমি মনে করি ওকে নিয়ে বাইরে থেকে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। কারণ আমরা ওর কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা করি হয়তো সেই চাপটাই নিতে পারছে না। বাইরে থেকে কথা বললে আরো ক্ষতি হবে।’