সড়ক দুর্ঘটনায়ই মারা গেলেন নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে যুক্ত শামীমা
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শামীমা সুলতানা ঝর্ণা (৪৭) নামে এক নারী। তিনি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ঘিলাকান্দী গ্রামের মো: বদরুল আলমের স্ত্রী, বনগ্রাম নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শামীমা সুলতানার স্বামী মো: বদরুল আলম শনিবার সকালে জানান, গত বুধবার সকালে শামীমা সুলতানা বাড়ি সংলগ্ন কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাঁটাহাটি করছিলেন। এসময় তার পেছনে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে একটি পিকআপ সজোরে ধাক্কা দেয়। পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি শামীমাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
শামীমাকে উদ্ধার করে দ্রুত বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্কয়ার হসপিটাল এবং সর্বশেষ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হলে তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের আইসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শামীমা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
শনিবার ভোরে লাশ বাড়িতে নিয়ে এলে তাকে দেখতে ও সমবেদনা জানাতে মানুষের ঢল নামে।
নিহতের স্বামী আরো বলেন, ‘স্ত্রী আর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ছিল আমার সুখের সংসার।’