দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার,
সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে মদ বিক্রির বেসরকারীকরণ সংক্রান্ত আবগারি নীতি বদলের এক মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা মনীশ সিসোদিয়াকে আদালতে তোলা হয়েছে। ভারতের রাজধানীর স্থানীয় সরকারের এই উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার আদালতে তোলা হয়।
আম আদমি পার্টির এই নেতাকে গ্রেপ্তার ও আদালতে তোলার ঘটনায় দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করছেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আম আদমি পার্টির কর্মী ও সমর্থকরা দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চণ্ডিগড়, ভোপালসহ অন্যান্য আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করেছেন। বিক্ষোভের সময় রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদর দপ্তরের কাছে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
এএপির বিক্ষোভকারীরা ডিডিইউ মার্গে বিজেপির কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ও ব্যারিকেড স্থাপন করে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এনডিটিভি বলছে, দিল্লিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকদের আটকের পর ধাক্কা মেরে বাসে তুলতে দেখা গেছে। দলের কর্মীদের বহনের জন্য সেখানে ১০ থেকে ১৫টি বাস ছিল।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছর দিল্লির আবগারি নীতি পরিবর্তন করা হয়। সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে সেই সময় মদ বিক্রিকে বেসরকারীকরণ করে আম আদমির সরকার। কিন্তু সরকারি নীতি বদলের সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাপক পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগ ওঠার পর দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। রোববার সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা প্রায় ৮ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। আবগারি নীতি বদলের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দিল্লির এই উপমুখ্যমন্ত্রীকে সোমবার আদালতে তোলার পর পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়েছে পুলিশ। এই মামলায় তিনি এক নম্বর আসামি।
সিবিআই বলছে, দিল্লির মদ বিক্রির নীতিমালা প্রণয়নের সময় মাদক সংস্থাগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে। ‘সাউথ গ্রুপ’ নামে পরিচিত একটি লবি নীতি বদলের সিদ্ধান্তের পেছনে ৩০ কোটি রূপি লেনদেন করেছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই।