বিপদগ্রস্ত ও সমস্যা জর্জরিত ব্যক্তিকে দেখে যে দোয়া পড়বেন
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব ও হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি বলবে; তার প্রতি ওই বিপদ কখনো পৌঁছবে না; সে যেখানেই থাকুক না কেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
الحمدُ للهِ الذي عافَانِي مِمَّا ابْتلاكَ به ، و فَضَّلَنِي على كَثيرٍ مِمَّنْ خلق تَفضِيلًا
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাজি আ’-ফা-নি- মিম্মাবতালা-কা বিহি- ওয়া ফাদ্দালানি- আ’লা- কাছি-রিম মিম্মান খালাক্বা তাফদি-লা-।’
অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তোমাকে যাতে (যে বিপদে) পতিত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেক জিনিস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দান করেছেন।’
এ হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, কোনো ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত ও সমস্যা জর্জরিত কোনো ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়াটি পড়লে কোনো মসিবতে পড়বে না।
সতর্কতা-
আলেমগণ বলেছেন, কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়া নিম্নস্বরে পড়তে হবে, যাতে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির মনে কোনো ব্যথা না পায়।
আবার যে ব্যক্তি প্রকাশ্য পাপাচারিতা ও পার্থিব বিষয়ে বেশি পেরেশান। তখন এ দোয়া উচ্চঃস্বরে পড়বে, যাতে সে নিজের পাপ ও পার্থিব বিষয়ের কারণে লজ্জিত হয় এবং তা থেকে ফিরে আসে।
উচ্চঃস্বরে এ দোয়া পড়লে যদি ফেতনার আশংকা থাকে তবে নিম্ন স্বরে পড়াই ভালো।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শারীরিক, পার্থিব এবং দ্বীনি সব ধরনের বিপদ ও সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে বিশ্বনবির শিখানো দোয়া পড়ে তা থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।