মিয়ানমারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের কারণে মিয়ানমারের কিছু সামরিক কর্মকর্তা এবং সংস্থার উপর সোমবার ষষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই অভ্যুত্থানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চি-র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নয় ব্যক্তি এবং সাতটি সংস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইইউ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে ওই ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলো অবদান রেখেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট কিছু ব্যবসায়ী যারা সরকারকে সমর্থন করেছেন।
এছাড়া, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভাগগুলোর উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তাদের এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর নথিভুক্ত তথ্যে জানা গেছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে, সামরিক বাহিনী ‘সারা দেশে মানবতার বিরুদ্ধে বহু অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ করেছে।’
অধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা, অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, প্রায় ২০ হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে আটক করা হয়েছে এবং সামরিক বাহিনী দ্বারা ৩ হাজার জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, ইইউ বলেছে, তারা ‘যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার রক্ষক এবং সাংবাদিকদের উপর নিপীড়ন, বেসামরিক জনগণের উপর হামলাসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্রতম ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে। এছাড়া তারা, সারাদেশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিশু এবং ব্যক্তিদেরও লক্ষ্যবস্তু করা এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা স্কুল ও হাসপাতালসহ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সাম্প্রতিক মারাত্মক বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা