আরও একবার প্রেমের ফুল ফুটেছে বিল গেটসের জীবনে
তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটসের জীবনে আরও একবার প্রেমের ফুল ফুটেছে বলে জোর গুঞ্জন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাপ্তাহিক সাময়িকী পিপল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পলা হার্ড নামের নারীর প্রেমে মজেছেন তিনি।
বিল গেটস ও পলা হার্ডের ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ডেট করছেন এই যুগল।
গত মাসে আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বিল গেটস ও পলা হার্ডকে স্টেডিয়ামে পাশপাশি আসনে বসে খেলা উপভোগ করতে দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই যুগলের হাস্যোজ্জল ছবিও প্রকাশিত হয়েছে।
বিল গেটস ও পলা হার্ডের ঘনিষ্ট একটি সূত্র পিপলকে জানান, ‘বিল গেটস যে পলা হার্ডের সঙ্গে ডেটিং করছেন—তা এখন সবাই জানে। তবে বিল গেটসের সন্তানদের সঙ্গে এখনও পলার সাক্ষাৎ হয়নি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিল গেটস ও পলা হার্ডের একজন বন্ধু অস্ট্রেলিয়ার নিউজ ডটকমকে বলেছেন, ‘তারা প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে আছেন এবং এই সম্পর্ক চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। নিজের বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের কাছে পলা হার্ড ‘রহস্যময় নারী’ হিসেবে পরিচিত; তবে সম্পর্ক নিয়ে বিল কিংবা পলা— কেউই আমাদের সঙ্গে কোনো রহস্য করেননি।’
সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওরাকলের সাবেক শীর্ষ নির্বাহী মার্ক হার্ডের স্ত্রী পলা হার্ডের বয়স ৬০; আর বিল গেটসের বয়স ৬৭ বছর। সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি নির্বাহী (টেক এক্সিকিউটিভ) পলা হার্ড বর্তমানে ইভেন্ট পরিকল্পনাকারী ও সমাজসেবামূলক কাজ করেন।
২০১৯ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মার্ক হার্ড, এ সময় তার বয়স ছিল ৬২ বছর। ক্যাথেরিন ও কেলি নামের দুই মেয়ে আছে এই দম্পতির।
এদিকে, ২০২১ সালের আগস্টে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের চুড়ান্ত ইতি টানেন বিল গেটস ও মেলিন্ডা। ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেছিলেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তার আগে ৭ বছর প্রেম করেছেন তারা। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।
বিল ও মেলিন্ডা মিলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ গড়ে তোলেন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই ও শিশুদের টিকাদানে উৎসাহিত করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে এ ফাউন্ডেশন।
বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে টু্ইটার বার্তায় বিল ও মেলিন্ডা বলেছিলেন, ‘গত ২৭ বছরে আমরা অসাধারণ তিনটি সন্তান পেয়েছি। এমন একটা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি, যে ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে মানুষকে স্বাস্থ্যকর ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। আমরা যে বিশ্বাস থেকে ওই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করেছি, সেটা থাকবে। এই ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাব। কিন্তু আমরা আর এটা বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমাদের জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব।’সূত্র: ঢাকা পোস্ট