গণতন্ত্র হল জনগণের সম্মতির শাসন, যে সম্মতি প্রতিষ্ঠা হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে বেছে নেয়। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ক্ষমতা জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে ব্যবহার করে।
অথচ আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এখন পুরোপুরিভাবে ভেঙে গেছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনে থাকা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এখন বিবেকশূন্য হয়েছেন। তারা ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করছেন। সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগ সরকারদলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছেন। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এখন কল্পনায় পরিণত হয়েছে। ভোটাধিকার হারিয়ে মানুষ এখন রাজনীতিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।
সুতরাং এটাই স্পষ্ট যে, আওয়ামী ক্ষমতাসীনদের মুখে নির্বাচন, গণতন্ত্র- এসব এখন কবিগান, ঘেটুগানের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন। এককথায় এখন যা হচ্ছে এগুলোকে নির্বাচন বলা যায় না।
অতএব, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজনীতি করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। তাই এই অনুচ্ছেদকে সামনে এনে জনগণকে আরও সচেতন ও সংগঠিত করে তুলে একটা ব্যাপক গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করা জরুরি। কেননা ক্ষমতাসীনদের নেতিবাচক এই রাজনৈতিক দর্শন পরিবর্তনের জন্য জনগণের দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আর সেটা রাজপথে নেমে একটি গণবিপ্লব ঘটানোর মধ্য দিয়েই। যে গণবিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে রাজপথে বিএনপি লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে।