হামলায় রক্তাক্ত রিজভীকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হামলাকারীরা তার হাত-পায়ে কিলঘুষি মেরে আহত করে। পরে আহতাবস্থায় তাকে রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট্রাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে কারওরানবাজারে প্রচারে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ সময় তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হন।
রুহুল কবীর রিজভীকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ৯ তলায় আহত রিজভীর সর্বশেষ চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। এ সময় রিজভীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, শিরিন সুলতানা, নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকালে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের কাছে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় হামলার শিকার হন রিজভী। এ সময় আওয়ামী লীগের একদল কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলে হামলা করে। এ হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে বিএনপির লোকজন। এ সময় রিজভীকে মারধর করে তারা। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দেয়ায় পায়ে ও হাতে আঘাত পান রিজভী। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং হাত-পা থেকে রক্ত ঝরে।
হামলায় বিএনপিসমর্থিত ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরপ্রার্থী আজিজুর রহমান মোছাব্বির, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোর্শেদ আলমসহ ছয়জন আহত হন।
প্রচারের সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, গোলাম সরোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও মোর্শেদ।