ভোটারদের প্রতি নুরের আহ্বান
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু’র ভিপি নুরুল হক নুর। গতকাল রাতে তার ফেসবুক পেইজের এক লাইভে তিনি এ কথা বলেন। ১৬ ঘণ্টা আগের ১৪ মিনিটের লাইভটি এই পর্যন্ত দেখেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। শেয়ার হয়েছে প্রায় দুই হাজারের মতো।
ফেসবুকে লাইভে তিনি বলেন, ভোট দেয়া না দেয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই এক ধরনের অনীহা রয়েছে। ভোট নিয়ে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার অন্যতম কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতা। এই কমিশন বিশেষ করে জাতির সামনে ভোটকে একটি প্রহসনে পরিণত করেছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ আর ভোট নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে না।কিংবা সেটা নিয়ে তেমন চিন্তা-ভাবনা করেন না বা গুরুত্ব দেখায় না। ভোট একটি পবিত্র আমানত, সেটা রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। সঠিক ব্যক্তিকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার ভোটটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই দলের চার প্রার্থীই শিক্ষিত, স্মার্ট। আপনার কাছে যাকে পছন্দ হয় তাকেই ভোট দিবেন। তবে আমার কাছে নির্বাচনটি একটি ভিন্ন রকমের গুরুত্ব বহন করে। কিছু কিছু কারণে এ নির্বাচনটি আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়। বর্তমানে দেশে যে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ রয়েছে, যেখানে জাতীয় নির্বাচনই ভোটছাড়া সম্পন্ন হয়েছে। সরকার গঠিত হয়ে যাচ্ছে, জনপ্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে এই নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ভাবে এই সরকারকে আমি জনগণের সরকার মনে করি না। কিন্তু আমি আশা করি এবার মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে হলেও এই সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। ভোট দিতে না পারা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে, আমি আশা করি এবার অন্তত মুজিববর্ষের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেবে সরকার। প্রার্থীরা যদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ দেয় তাহলে আমি মনে করি অবশ্যই ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবে। ভোটকেন্দ্রে যদি কোনো ধরনের গোলযোগ তৈরি হয় সেক্ষেত্রে গণমাধ্যম তো আছেই, তাছাড়া সবার হাতে স্মার্টফোন আছে। সামাজিক মাধ্যম আছে। কৌশলে ভিডিও ধারণ করুন। যারা বিরোধী দলের এজেন্ট আছেন তারা সুকৌশলে ছোট ক্যামেরা সঙ্গে রাখুন। তিনি বিরোধী দলের প্রার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। সব দিক চিন্তা করলে এই নির্বাচনে সহজে ম্যানিপুলেট বা কেন্দ্র দখল করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ভোটাধিকারের মাধ্যমেই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবো।