ট্রেনের বগির ভেতর থেকে ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করায় যাত্রীর নাক ফাটালো রেল কর্মীরা
আন্তঃনগর এক্সপ্রেসের চলন্ত ট্রেনের বগির ভেতর থেকে এক নারী যাত্রীর ভ্যানিটি ছিনতাই করে দুই যুবক। ব্যাগের ভেতর দামী স্মার্টফোন ও নগদ টাকা ছিল।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী চিৎকারে অন্যান্য যাত্রীরা চড়াও হন দায়িত্বরত গার্ড ও অ্যাটেনডেন্টের ওপর। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এক যাত্রীকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেন তাদের অধীনস্থরা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী চারঘাট উপজেলার সারদা রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সারদা স্টেশনে যাত্রা বিরতির পর আবার রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হয়। মারধরের ঘটনাটি ঘটে তার কিছুক্ষণ পর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে সারদা স্টেশনে কয়েক মিনিট যাত্রা বিরতির সময় বেশ কয়েকজন টিকিট ছাড়া পদ্মা এক্সপ্রেসের ‘ঘ’ বগিতে ওঠেন। এ সময় বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমাচ্ছিলেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার মুহূর্তে কুমকুম নামে এক যাত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে দৌড়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন ওই দুই যুবক।
ছিনতাইয়ের আকস্মিকতায় ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করেন। এ সময় অপর যাত্রীরা সজাগ হন। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কারণ জানার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। পরে ট্রেনের গার্ড মনির হোসেন রাজ ও অ্যাটেনডেন্ট হাজির হন। তাদের সঙ্গে আসেন কজন গার্ড ও ক্লিনার। যাত্রীরা তাদের ওপর চড়াও হন।
তাদের সঙ্গে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন এক ক্লিনারকে ধরে চড়-থাপ্পড় দেন যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন। এ ঘটনার পর ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছলে গার্ড মনির হোসেন রাজসহ কয়েজন ক্লিনার ওই বগির যাত্রী শিমুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। তাদের সংঘবদ্ধ হামলায় শিমুলের নাক ফেটে যায়। এ সময় এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে গার্ড মনির রাজ তার ওপরও চড়াও হন। পরে রেল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত শিমুলের অভিযোগ, ট্রেনে ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত ক্লিনারসহ গার্ড এবং অ্যাটেন্ডেন্টরা। তা না হলে এতো লোক হুট করে প্রথম শ্রেণির বগিতে ওঠার কথা নয়। এর প্রতিবাদ করায় গার্ড মনিরসহ কয়েকজন ক্লিনার আমাকে মারধর করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তিনি।