বিক্ষোভে প্রকাশ্য গুলির ঘটনায় অনুরাগ ঠাকুরকে গ্রেফতার দাবি
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগিরকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে।
দেশটির সিপিআই নেতা ডি রাজা বলেন, দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচারের সময় উসকানিমূলক মন্তব্য দিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। যে কারণে এ হামলা হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে মারা মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা উচিত।
ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে জানা গেছে, রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই অভিযুক্ত রামভক্ত গোপাল মিছিলে হামলা চালাতে এসেছিলেন। ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। তাতে শাহিনবাগের আন্দোলনকে শেষ করার একাধিক হুমকি দিয়েছেন তিনি।
হামলার আগে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভও করেন তিনি। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তর্ক শুরু হয়ে গেছে।
শাহিনবাগের বিক্ষোভকে উদ্দেশ্য করে সপ্তাহখানেক আগে তোপ দেগেছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অনুরাগ বলেন, ‘দেশ কে গাদ্দারো কো, গুলি মারো সালা কো’ বলে তিনি স্লোগান দিচ্ছেন।
যারা বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘যারা দেশের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তাদের গুলি করে মারো’।
‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে গুলিও ছুড়লেন রামভক্ত গোপাল। আর তাকে বাধা দেয়া তো দূর, বরং চোখের সামনে সব কিছু দেখেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল দিল্লি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মহাত্মা গান্ধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী মিছিল নিয়ে রাজঘাটের দিকে এগোচ্ছিল জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের একটি দল।
তার জন্য আগে থেকেই ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল আটকাতে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে বসানো হয়েছিল ব্যারিকেডও। এগোতে না পেরে ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
সেই সময় তাদের ওপর চড়াও হন গোপাল নামের ওই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের শাসান তিনি। বলেন, কিসকো আজাদি চাহিয়ে? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি। ইয়ে লো আজাদি।
তার পরেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়েন।