ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ২০ বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার পক্ষের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রায় ৪০টি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ও শনিবার আশুগঞ্জের দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া এবং ইউপি সদস্য মিজান মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দু‘দফায় সংঘর্ষ হয়।
এই ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন বুধবার সকালে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে মিজান মেম্বারের গোষ্ঠীর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সংঘর্ষের সময় স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকানে অগ্নিসংযোগসহ আরো প্রায় ২৭টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবরে সেখানে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে মুদি, ফার্মেসিসহ বিভিন্ন প্রকার ১৩টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।