জনগণের ভোটের অধিকার চাওয়াকেই অপরাধ বানানো হয়েছে: ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘শুধু ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি, বরং ভোটের অধিকার চাওয়াকেই অপরাধ বানানো হয়েছে। একের পর এক কালাকানুন করে গোটা দেশকেই জেলখানা বানানো হয়েছে। বিরোধী মতকে দমন করা, গুম করা, রাজনৈতিক সমাবেশে গুলি করে মানুষ মারা ক্ষমতাসীনদের নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে।’
গতকাল সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল করীম। সম্মেলনে তিনি পুনরায় আমির হয়েছেন।
১৫ দফা দাবি তুলে ধরে চরমোনাইয়ের পীর বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধে বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে, মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে, শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে, কারাবন্দি সকল আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে ও নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে, নির্বাচনে সব দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরিতে নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে, ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না, সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশের সাংবিধানিক স্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।’
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও সোনার বাংলা উপনিবেশিক আমলের মতো শশ্মান রয়ে গেছে। ২০২৩ সালে এসেও দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যায়। দেশের সম্পদ ঢলের মত বিদেশ পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কোটি টাকার গাড়ি কেনে আর কোটি মানুষ একমুঠো ভাতের জন্য টিসিবির ট্রাকের পিছনে দৌড়ায়।’