এখনও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি — ড. খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া ও প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।তারা অব্যাহতভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। অন্যদিকে, আমাদের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে হামলা, দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেফতার করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেই চলছে। বারবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার পরও কমিশন থেকে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বরং তারা বরাবরের মতোই নির্বিকার। নির্বাচনের আর মাত্র বাকি আছে তিন দিন। কিন্তু কোনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।
তিনি বলেন, ‘অথচ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তার কিছুই দেখছি না। এ কারণে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সব নির্বাচনের মতোই যেন তামাশা ও প্রহসনে পরিণত না হয়।’
বুধবার, জানুয়ারি ২৯, ২০২০ দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন এখন হরেক রকম কারসাজি ও তামাশায় পরিপূর্ণ বলে দাবি করে মোশাররফ বলেন, তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন মানেই বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে তামাশা।প্রশাসনিকভাবে কেন্দ্র দখল করে সিল মারার উৎসব। কখনও কখনও দিনের ভোট আগের রাতেই সম্পন্ন করে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোনও দেশেই ইভিএম গ্রহণ করেনি। এর মাধ্যমেই ভোট কারচুপি করা সম্ভব। ভোটের ফলাফল বানচাল করা যায়। আমরা এখনও দাবি করছি, ইভিএম নয় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা হোক।
৩০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, ‘নির্বাচনের একদিন আগে এমন সমাবেশ ও গণমিছিল নির্বাচনি আচরণবিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।